এ এম ওমর আলী:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রাইভেট শিক্ষকের হাতে ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অপহরণের ৪০ঘন্টা পর টানা শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৭অক্টোবর) সন্ধ্যায় চকরিয়া থানা পুলিশের একটি টিম প্রযুক্তির সহযোগিতায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
চকরিয়া থানার এস আই জাকির হোসেন জানান, পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের মেয়ে শাহরিয়া জন্নাত মীম(৯) চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের ৩য় শ্রেনীতে পড়ে। পাশাপাশি পৌরশহরের ৬নং ওয়ার্ডের ভাড়া-বাসায় বসবাসকারি মোহাম্মদ শফির ছেলে মুজিবুর রহমানের নিকট প্রাইভেট পড়ে। মুজিবুর রহমানের বাড়ি চট্টগ্রামের গহিরায় ঠিকানা হলেও তার প্রকৃত বাড়ী মায়ানমায় ও উখিয়া কুতুপালংস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৭-এ। এভাবে বাংলাদেশে ভুয়াঁ পরিচয়ে ভোটার হয়ে বাঙালী সেজে বসবাস করছিলেন মুজিব। চকরিয়া পৌরশহরে প্রাইভেট টিউশনির ফাঁদ তৈরি করে সে।
অপহৃত শাহরিয়া জন্নাত মীমের পিতা সাইফুল জানান, প্রতিদিনের মত (৭অক্টোবর) মঙ্গরবারও মীম বিকেল সাড়ে ৩টায় তার শিক্ষক মুজিবের বাসায় প্রাইভেট পড়তে যায়।
মীমের পিতা সাইফুর আরও বলেন-সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে একটি হোটাস এ্যাপসের মাধ্যমে তার কাছে ফোন আসে। ফোন রিসিভি করলে মীম কোথায় জানতে চাওয়া হলে আমি বলি সে পড়তে গেছে। অপর প্রান্ত থেকে ফের বলেন-মীম আমাদের হাতে আছে, পেতে চাইলে ১০লাখ পাঠান। আমি নিরুপায় হয়ে ১০হাজার টাকা প্রেরণ করি। সাথে সাথে আমি থানায় শিক্ষক মুজিবকে আসামী করে থানায় সাধারণ ডায়েরী করি।
চকরিয়া অফিসার ইনচার্জ তৌহিদ আনোয়ার বলেন-সাধারণ ডায়েরীটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে এস আই জাকির হোসেনকে নির্দেশনা দিয়েছিলাম। এস আই জাকির এবং এ এস আই জসিমউদ্দিন প্রযুক্তির সহযোগিতায় অপহৃত মীমের অবস্থান সনাক্ত করে অভিযানে নামে। অবশেষে মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে টানা ৪০ ঘন্টা অভিযানের পর (৮সেপ্টম্বর) বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি ঘর থেকে মীমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
এস আই জাকির জানান, ঘরে থাকা লোকজন অভিযানের খবরে মীমকে রেখে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন- অপহরণকারি মুজিবের কুতুপালংয়ে আরও একটি ঘরের খোঁজ মিলেছে। সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় শিক্ষক মুজিব পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply